নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাস ইদানীংকালে যে একটি আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বর্তমানে তা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। এই ভাইরাস নিয়ে ভীতি কমে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ হলো প্রাণ হারানো কমে যাওয়া।
এখন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দিন দিন বাড়ছে। সেরকম প্রচুর মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরছেন। খুব অল্প সংখ্যক মানুষই সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। অর্থাৎ অজান্তেই আমাদের শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
আইসিএমআর একটি সমীক্ষায় বলছে, “কইন্টেনমেন্ট জোনে থাকা মানুষদের একটা বড় অংশের মধ্যেই কোভিড ১৯ এর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে গতকাল দেশে প্রথমবার করোনাতে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা।”
দেশে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৪৮। হাসপাতাল থেকে ফেরা সুস্থ মানুষের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪১ হাজার ০২৯ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাই আশার আলো দেখছেন। তাদের আশঙ্কা আগামীদিনে সুস্থ রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে।
দেশের ৭০টি জেলাতে সমীক্ষা করার পর আইসিএমআর দাবি করেছে, অনেকগুলি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কনটেন্টমেন্ট জোনগুলির মধ্যে থাকা জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মানুষই সংক্রমিত হয়ে আবার সেরে উঠছেন।
আইসিএমআর আরও দাবি করেছেন, “এই ভাবেই যদি জনগোষ্ঠীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে তাহলে নতুন সংক্রমণের হার কমে যাবে।” তাদের আরও মত, “এই কইন্টেনমেন্ট জোনগুলির প্রতিফলন গোটা দেশে ঘটবে আগামীতে।”
তবে ইউরোপ ও আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শীতকালে ব্যাপক আকার নিতে পারে এই ভাইরাস। অতীতকালেও অন্যান্য ভাইরাসরা দ্বিতীয় বার ফিরে এসেছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয়বার ফিরে আসার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে চিকিৎসকদের অনুমান, “আগামীতে সংক্রমিত মানুষের তুলনায় সুস্থ মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। আর জনগোষ্ঠীতে করোনার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।”