করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের মাথাব্যথা এখন মুর্শিদাবাদ, বলছে সমীক্ষা

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে চিন্তায় ফেলেছে মুর্শিদাবাদ। জেলায় এই মুহুর্তে একজন করোনা সংক্রামিত আর যে কারণেই রাজ্যের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে এই জেলা। বিপুল জনঘনত্বপূর্ণ এই জেলাকে যেন দ্বিতীয় হাওড়া হতে না হয় তা নিয়েই তৎপর প্রশাসন। পাশাপাশি এই জেলাকে আরও চিন্তায় ফেলেছে এখানকার বাসিন্দাদের শারীরিক সমস্যা।

শুক্রবার নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (সারি) বা প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগার মতো রাজ্যে যে পরিসংখ্যান রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি এই জেলার মানুষ। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মুর্শিদাবাদ থেকে এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক সারি কেস নথিভূক্ত হয়েছে। এই জেলার জনঘনত্ব এমনিতেই বেশি। এখানে এখনো পর্যন্ত একটি করোনা পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে। আবার এখানে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন। এই জেলার প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সারি আর ইলি (ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ) থাকা মানুষদের খুঁজে বের করে সারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, “তোমরা বিষয়টিকে ক্যাজুয়ালি নিও না। একজন থেকে ১০০ জন, তারপর দেখতে দেখতে ১০০০ জন হয়ে যাবে।” মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদের মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বারে এখনো লোক ঢুকছে। পুলিশ কি করছে?”

আর এসবের জেরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদবকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবারই তাঁর বদলে জেলার পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেরী রাজকুমারকে।এই জেলার ৮০ লক্ষ মানুষকে এখন গৃহবন্দী করাটাই হচ্ছে রাজ্য সরকারের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

এছাড়াও এদিন মুর্শিদাবাদ জেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করে বলেন, “এই জেলার জন্য আলাদা করে সর্তকতা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর মানুষ বাইরে থেকে ঢুকছে ও ঢুকবে। সবাইকে কিন্তু প্রটোকল অনুযায়ী নজরে রাখতে হবে। বাইরে থেকে আসা সকলকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। আর ওখানে একটার পর একটা গন্ডগোল হবে কেন? সেজন্যই এসপিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”