স্বস্তির খবর, ভারত এখনো করোনা সংক্রমণে অতিক্রম করেনি দ্বিতীয় স্টেজ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩০০। তবে সংখ্যাটা এই বিপুল পর্যায়ে পৌঁছালেও ভারত এখনও দ্বিতীয় স্টেজ অতিক্রম করে নি। আর এই সংখ্যার বিচারে এখনই এই সংক্রমণকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ বলা যাবে না বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব লব আগরওয়াল। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এটিকে লোকাল ট্রান্সমিশন বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখ্যসচিবের এমন ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ভারতীয়দের মধ্যে।

সোমবার নতুন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, “কেউ কেউ ভারতে করোনা সংক্রমণকে এখনই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু তা অপব্যাখ্যা। সরকারি নথিতে আমরা কোথাও লিখছিনা কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কথা। এখনো পর্যন্ত যা ঘটছে তার লোকাল ট্রান্সমিশন বলা যেতে পারে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ব্যাপকতা অনেক বেশি। এখনো পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে একজনের সংক্রমণ থেকে অন্য একজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাও আবার স্থানীয়ভাবে। আর এই সংখ্যাটা দেশের জনসংখ্যার নিরিখে খুবই নগণ্য।”

সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও জানান, “ভারতে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১০০ থেকে ১০০০-এ পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১২ দিন। বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে যে সকল দেশে তিন-চারদিন সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৩ থেকে ৪ হাজারের পৌঁছে গেছে। সেদিক দিয়ে বিচার করলে ভারতের সংক্রমনের সংখ্যা সন্তোষজনক।”

প্রসঙ্গত, ভারতে এদিন সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫৬। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩৮ জন। এখনো পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ১১৭২। মৃত্যু ব্যক্তির সংখ্যা ৪৬। দেশের সবথেকে বেশি সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা হল মহারাষ্ট্রে, ২৪৩। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাটা হলো ২২। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩।

আর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণকে এখানেই ঠেকাতে ভারতীয়দের আরও সচেতন হতে হবে। এই কয়েকটা দিন নিজেদের গৃহবন্দী করে রাখতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সকলের সচেতনতাই বাঁচাতে পারে দেশকে। তবে তা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে দেশের কাছে দুশ্চিন্তার সবথেকে বড় কারণ হলো পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে। কারণ তারা যেভাবে ঘরমুখো হয়ে পড়ছেন তাতে পরিস্থিতি কোন জায়গায় দাঁড়ায় তাই এখন দেখার।