ATM থেকে ছড়াচ্ছে করোনা, কাউন্টারে যাওয়ার আগে মেনে চলুন ৬টি নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বজুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। ভারতেও এই সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই ভারতে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা পৌঁছে গেছে ২৬৪৯৬ তে আর মৃত ৮২৪ জন। তবে এরই মাঝে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮০৪ জন। অর্থাৎ বর্তমানে অ্যাক্টিভ সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ২১০৯২ জন। আর এই ভাইরাসের জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব, আবার অন্যদিকে তাড়া দিচ্ছে আর্থিক সংকট। আর এর থেকে নিস্তার পাবার উপায় আপাতত অধরা, কারণ নেই কোনো রকম ভ্যাকসিন, নেই কোনো রকম ওষুধ। সামাজিক দায়িত্ব ও সর্তকতা অবলম্বন একমাত্র বাঁচার উপায়।

আর এসবের মাঝেই আরও একটি খবর সকলের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। জানা গিয়েছে গুজরাটের বদোদরায় তিন সেনা জওয়ানের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। জানা গিয়েছে ওই তিন সেনা জওয়ান একই দিনে বদোদরার একটি এটিএম থেকে টাকা তুলে ছিলেন। তারপরেই তাদের শরীরে ধরা পড়ে করোনা সংক্রমণ। যাতে করে মনে করা হচ্ছে ওই এটিএম থেকেই তাদের শরীরে প্রবেশ করেছে করোনাভাইরাস। অর্থাৎ এটিএম ব্যবহার বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তাহলে কি এটিএম ব্যবহার করা যাবে না?

নগদ ক্যাশের জন্য এটিএম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে সাধারণ মানুষকে। তবে এটিএম ব্যবহার করার আগে ও পরে মেনে চলতে হবে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা। আর এই সকল নির্দেশিকা মেনে চললে হয়তো সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কম করে ৬টি পদক্ষেপ মেনে চললে অনেকটাই রক্ষা।

১) নগদ ক্যাশের বিষয় থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব এটিএম কাউন্টার অথবা ব্যাঙ্ক এড়িয়ে চলার পক্ষে মতামত পোষণ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। অনলাইন কাজকর্মের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।

২) এটিএম কাউন্টারে কেউ ঢুকে থাকা অবস্থায় অন্য আরেকজন প্রবেশ করবেন না। প্রথম ব্যক্তি বেরিয়ে আসার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করুন। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব।

৩) এটিএম কাউন্টারের প্রবেশ করার আগে হাতে স্যানিটাইজার লাগান। ঠিক একই ভাবে বেরিয়ে আসার পরেও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যে সকল জায়গায় মানুষ বেশি হাত দেয় সেই সকল জায়গা এড়িয়ে চলার কথা মাথায় রাখুন।

৪) এটিএম কাউন্টারের প্রবেশ করা অবস্থায় অথবা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হাঁচি-কাশি পেলে অবশ্যই ঢেকে রাখুন। মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক।

৫) বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার জ্বর, সর্দি কাশি ইত্যাদি অথবা অন্য কোন ফ্লু হয়ে থাকলে এটিএম কাউন্টারে যাওয়ার দরকার নেই।

৬) এটিএম কাউন্টারের মধ্যে আপনার ব্যবহৃত মাস্ক, টিস্যু ইত্যাদি কখনোই ফেলে আসবেন না।