নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর দুর্গাপুজোয় আপামর বাঙালি মেতে উঠেছিল দুর্গোৎসবে। মণ্ডপে মণ্ডপে লক্ষ্য করা যায় উপচে পড়া ভিড়। এই উপচে পড়া ভিড় নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয় বিশেষজ্ঞ মহলে। শুধু আশঙ্কা তৈরি হওয়া নয়, পুজোর পরেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার গ্রাফ বাড়তে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই অল্প সংখ্যক পরীক্ষার মধ্যেই কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায় লক্ষ্য করা গিয়েছে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এইসকল জেলাগুলি ছাড়াও বীরভূমেও এক ধাক্কায় বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের নিয়ে একটি বৈঠকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন।
১) ২০ অক্টোবরের পর থেকেই ফের চালু হচ্ছে রাত্রিকালীন কারফিউ। মুখ্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশদের নিয়ে এই নাইট কারফিউ কড়াকড়িভাবে চালু করতে। রাত্রি ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে এই নাইট কারফিউ।
২) করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রতিটি জেলায় যাতে ঠিকঠাক টিকা দেওয়া হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আরও বেশি পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪) তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে পরিকাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেই পরিকাঠামো যত দ্রুত সম্ভব সম্পূর্ণ করতে হবে। ভেন্টিলেশন বাড়ানো, বেড বাড়ানো, আক্রান্ত শিশুদের জন্য হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতায় পজিটিভ হার ছাড়িয়ে গেছে ৩ শতাংশের বেশি। এখানে বর্তমানে পজেটিভ হার প্রায় ৩.৬৫%। এই পজেটিভ হার রীতিমতো উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।