নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্যের বাসিন্দাদের কঠোর বিধি-নিষেধ নিয়ে ছাড় দিয়েছে। লোকাল ট্রেন, স্কুল-কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, সুইমিংপুল ইত্যাদি হাতে গোনা কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া বাকি প্রায় সবই খোলা।
এই আনলক পর্যায়ে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে। তবে এরই পাশাপাশি রাত্রি ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যাতে আরও কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলা হয়, তা নিয়ে কড়া মনোভাব নিচ্ছে নবান্ন।
ইতিমধ্যেই শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের জেলা শাসক এবং স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিকদের সাথে একটি বৈঠক করেন। শুক্রবারের পর ফের এ নিয়ে আলোচনা হয় শনিবার। আর এই সকল আলোচনা পর্যালোচনায় মুখ্যসচিবের কড়া বার্তা, রাজ্যের কোভিড বিধি-নিষেধ আরও কড়াভাবে আরোপ করতে হবে। বিশেষ করে রাত্রি নটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত যে বিধি নিষেধ চালু রয়েছে তা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেউ এই বিধিনিষেধ না মানলেই তাকে মোটা অঙ্কের ফাইন করতে হবে।
এর পাশাপাশি তিনি রাজ্যের প্রতিটি জেলা শাসককে নির্দেশ দেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে কতটা সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করা যায় তা আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। ভিড়, জমায়েত ইত্যাদিতে লাগাম টানতে হবে। রাজ্য সরকার যে গাইডলাইন দিয়েছে সেই গাইডলাইন যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজন পড়লে নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এমনকি এই বৈঠকে মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, রাস্তাঘাটে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব নামে যারা ঘোরাফেরা করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ধরপাকড় শুরু করতে হবে এবং মোটা অঙ্কের টাকা ফাইন স্বরূপ আদায় করে নিতে হবে।