নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে এরই মাঝে স্বস্তির খবর এটাই যে বাংলায় আপাতত করোনা পরিস্থিতি আপাতত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যদিও সরকারিভাবে কোনো ঘোষণা হয়নি, তবে গত ২৪ ঘন্টার পরিসংখ্যানে এমনটা টের পাওয়া যায়। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কাউকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর এমন সাফল্য এসেছে লকডাউন ও সচেতনতা অবলম্বন করে আপামর বাঙালি নিজেকে গৃহবন্দী করে ফেলায়। আমরা যদি আরও একটু সচেতন হয়ে এই কয়েকটা দিন নিজেদের গৃহবন্দী ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি তাহলে এই সাফল্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে আমাদের রাজ্যে ২৫ হাজার ৯৫ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর নতুন করে ২৪ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও এই সংখ্যাটা আর বাড়েনি। এছাড়াও রাজ্যে ৭৩ জনকে হাসপাতালে আইসোলেশন ভর্তি করা হয়। গত ২৪ ঘন্টায় ৫৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যাদের রিপোর্ট এলে কেবলমাত্র নয়াবাদের এক ব্যক্তির শরীরে মিলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৬৯ জনের বেশি ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে মাত্র ১০ জনের শরীরে মিলেছে সংক্রমণ। আর এই সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশজুড়ে কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন। করোনাভাইরাসের তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্প তুলে ধরা হয় লকডাউন অবস্থায় দেশের হতদরিদ্র মানুষের জন্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার রাজ্যের বাসিন্দাদের লকডাউন মেনে চলার অনুরোধ করছেন।পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও রাজ্যের বাসিন্দাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে নানান জনদরদি প্রকল্প। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বারবার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষকে সচেতন করতে।