আগস্টের ১৫ তারিখের মধ্যেই ভারত হাঁটতে পারে করোনামুক্তির পথে, তোড়জোড় প্রতিষেধকে

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ১৫ই আগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকেই ভারত করোনামুক্তির পথে হাঁটতে পারে। একটি চিঠি ঘিরে এমন ইঙ্গিত মিলছে। ভারতে তৈরি করা করোনার প্রথম টিকা বাজারে আসতে পারে স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই। আর এই টিকা বা প্রতিষেধকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভ্যাক্সিন’। ‘ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (BBIL)’-এর সহযোগিতায় এই টিকা বাজারে আনতে চলেছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)’।

‘ভারত বায়োটেক’ (Bharat Biotech) নামে ওই দেশি সংস্থা ‘কোভ্যাক্সিন’ (Covaxin) প্রতিষেধকটির ব্যবহার শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই টিকাটির মানব শরীরের ট্রায়াল শুরু হবে আগামী ৭ই জুলাই। এরপর গোটা জুলাই মাস এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলবে। ট্রায়াল চালানোর বিষয়ে ৩০ শে জুন প্রথম ভারত সরকার এটিকে মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেয়। ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ICMR এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির যৌথ সহযোগিতায় এই প্রতিষেধকটি তৈরি করা হয়েছে।

ICMR সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে এই টিকাটিকে আনার আগে বিশাখাপত্তনম, রোহতক, দিল্লি, পটনা, বেলগাঁও (কর্নাটক), নাগপুর, গোরখপুর, হায়দরাবাদ, গোয়া, আর্য নগর, কানপুর ও কাট্টানকুলাথুরের (তামিলনাড়ু) মত ১২টি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিউম্যান ট্রায়াল বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য। বিশ্বের প্রতিটি দেশের বিভিন্ন সংস্থা এই করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকা আবিষ্কারের জন্য তোড়জোড় চালালেও এখনো পর্যন্ত কোনো রকম টিকা বাজারে আসেনি। তবে আশার আলো এটাই যে বেশ কয়েকটি করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে।

ক্লিনিক্যাল বা হিউম্যান ট্রায়ালের বিষয়ে ICMR-এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলিকে। যে চিঠিতে লেখা হয়েছে, “টিকা তৈরি করার জন্য SARS-COV-2 ভাইরাসের স্ট্রেন সংগ্রহ করা হয়েছিল ICMR-এর অধীনস্থ পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে। টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আগে যা যা করণীয় BBIL-এর সহযোগিতায় সেই সবই করেছে ও করে চলেছে আইসিএমআর।” যদিও এই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনন্ত ভান।

পাশাপাশি ICMR-এর তরফ থেকে ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, খুব দেরি হলেও যেন ১৫ই আগস্টের মধ্যেই এই টিকা বাজারে সকলের জন্য আনা যায় তার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সমাপ্ত করতে। আর এই চিঠি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সকলের মধ্যে চরম উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে এই জীবনদায়ী প্রতিষেধকের জন্য।