নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা Covaxin, বর্তমানে বাজারে আনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে সপ্তাহ খানেক আগে। আর সেই প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল সম্প্রতি সামনে এসেছে। প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়। আর সেই ফলাফল নিয়ে পর্যবেক্ষকদের দাবি, ভালো সাড়া মিলছে এই টিকায়। ফলাফল নিয়ে তারা সন্তুষ্ট বলেও জানা গেছে।
পাটনা AIIMS-এর প্রধান পর্যবেক্ষক ডঃ সিএম সিং Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল নিয়ে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কোন রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। পাটনার AIIMS-এ ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ৪৫ জনের উপর ট্রায়াল হয়। ১৪ দিনের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এরপর তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের শেষ হওয়ার পর ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। Covaxin-এর দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে নাগপুরের ডঃ গিল্লুরকর হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটে। সর্বভারতীয় এক সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে এখানে দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ৫৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হবে Covaxin।
করোনা টিকা Covaxin তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR) এবং ন্যাশনাল ভায়রোলজি ইনস্টিটিউট (NIV)-এর গবেষকদের যৌথ প্রচেষ্টায়। এই দুই সংস্থার প্রচেষ্টায় ভারতে প্রথম এই টিকা তৈরি হয়। আর এর পরেই এই টিকা ট্রায়ালে পাঠানো হয়। টিকার ট্রায়াল চালানোর জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তরফ থেকে দেশের বারটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে, করোনা টিকা তৈরীর ক্ষেত্রে কোনোরকম ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। সমস্ত রকম নিয়ম কানুন মেনে চলছে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা। সুরক্ষার ব্যাপারে এই টিকার সমস্ত রকম দিক সুনিশ্চিত এবং পর্যবেক্ষণ করার পরেই বাজারে আনা হবে।
অন্যদিকে গতকাল বিশ্বে প্রথম দেশ হিসাবে রাশিয়া করোনা টিকা মানবদেহে প্রয়োগের সম্মতি দেয়। যদিও এই টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাশিয়া তাদের টিকার কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলে দাবি করলেও আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন আমেরিকাকে টেক্কা দিতে রাশিয়া তাড়াহুড়ো করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিকা বাজারে আনার ক্ষেত্রে সমস্ত রকম প্রটোকল তারা মেনেছে কিনা সে নিয়ে সন্দেহ আছে।