নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে মঙ্গলবার কলকাতায় পৌঁছায় করোনা ভ্যাকসিন। এরপর বুধবারই রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় চলে আসছে এই ভ্যাকসিন। বুধবার জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে যাওয়ার পর শুরু হবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজ। আর সেগুলিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার পর আগামী ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশন।
প্রথম দফায় স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো জরুরী পরিষেবা সাথে যুক্ত এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকটি পদ্ধতি। সেই পদ্ধতি মেনেই ভ্যাক্সিনেশনের কাজ চালানো হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ভ্যাকসিনেশনের সময় এক একজনের পিছনে কমকরে ১ ঘন্টা সময় লাগবে। ভ্যাক্সিনেশনের ক্ষেত্রে রয়েছে মোট চারটি পর্যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই সকল পর্যায়গুলি।
প্রথম পর্যায়ে যিনি ভ্যাকসিন নেবেন তার সমস্ত নথি যাচাই করবেন একজন ভ্যাক্সিনেশন অফিসার। তিনি নথি যাচাই করার পর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ভেরিফিকেশনের জন্য।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও একজন ভ্যাক্সিনেশন অফিসার ভ্যাকসিন নিতে আসা ব্যক্তির সমস্ত তথ্য অনলাইনে দেখে ভেরিফিকেশন করার পর পাঠিয়ে দেবেন ভ্যাক্সিনেটরের কাছে।
ভ্যাক্সিনেটর অফিসার এবং ভ্যাক্সিনেটর রুমে ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দেওয়ার পর সেখানে ভ্যাক্সিনেটর অফিসার ওই ব্যক্তির উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পর ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বিশ্রাম রুমে।
বিশ্রাম রুমে ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যক্তিকে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। ওই সময় চিকিৎসকেরা ওই ভ্যাকসিন দেওয়া ব্যক্তির উপর অবজারভেশন চালাবেন। যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সঙ্গে সঙ্গে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি পরবর্তী ক্ষেত্রে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা মিলবে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে।
এইভাবে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য একই পদ্ধতি মানা হবে বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে। প্রথম ডোজ নেওয়ার আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।