ভারতে ঢুকে গেল করোনা ভাইরাস, গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করলো কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাস মৃত্যুসম বিভীষিকাতে পরিণত হয়েছে। এই ভাইরাস চিন দেশটাকে যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এখন ভারতকেও গ্রাস করতে চলেছে। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের ৬ জন ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি ফুটে উঠেছে।
কেরল, তেলঙ্গানাতে শুরু করে রাজধানী দিল্লিতে অবধি পৌঁছে গেছে এই ভাইরাস।

যোগী সরকার অনেক আগেই এই ভাইরাস যাতে সংক্রমিত না হয় সেই জন্য থুতু দিয়ে ফাইলের পাতা উল্টানো যাবে না বলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। এইবার খোদ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক মিডিয়ার সামনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করলো।

এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান, ইত্যাদি দেশের নাগরিক যাদের ভিসা দেওয়া হয়েছিলো ১লা ফেব্রুয়ারি তা আজকে বাতিল করা হল। তবে ঐসকল দেশের কূটনীতিক, রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিক, ওআইসি কার্ডধারী, এয়ার ক্রুদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে না।

ভারতে আসতে যারা একান্তই বাধ্য তাদেরকে আবার নতুন করে ভিসার আবেদন করতে হবে। গত ৫ই ফেব্রুয়ারি চিন থেকে আগত কিছু নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়। এটি এখন জারি থাকবে। জরুরি কারণে যদি কাউকে ভারতে আসতেই চান তবে তাকে ভারতীয় দূতাবাসে আবারও আবেদন করতে হবে। যে সকল মানুষরা ভারতে আসবেন তাদের এদেশে প্রবেশের সময় স্বাস্থ্য ও সফর ইতিহাস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। আর ভারতের নাগরিকদের চিন, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ইত্যাদি জায়গায় যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।

এই করোনা ভাইরাসের উত্তাল পরিস্থিতিতে পুরো ভারতের মানুষ আতঙ্কিত। কী ভাবে এই মুহূর্তে নিজেকে এই রোগের থেকে দূরে রাখবেন জেনে নিন-

১) এই ভাইরাস যে ছোঁয়াচে তা তো জানেন, তাহলে এই পরিস্থিতিতে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। বারবার হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোঁয়ার সময় অ্যালকোহল বেসড সাবান ব্যবহার করুন। যেখানে সেখানে মূত্র ত্যাগ করবেন না।

২) কাশি বা হাঁচি হলে মুখে একটি কাপড় নিন।

৩) কোনো ক্ষেত্রে টিস্যু পেপার ব্যবহার করলে তা একটি ডাস্টবিনে ফেলে দিন। আর যদি আপনি অসুস্থ বোধ করেন তাহলে অবশ্যই ফেলে না রেখে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৪) যদি আপনার বাড়িতে কারোর জ্বর বা সর্দি হয় তবে ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিন।

৫) রাস্তাঘাটে থুথু ফেলবেন না।

৬) কাঁচা সবজি খাবেন না। ভালো মত রান্না করে খাবার খান।

৭) পশুপাখির ছোঁয়াচ থেকে একটু এড়িয়ে চলুন।

৮) পশুপাখিদের খামারে না যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি বাজারে যে জায়গাতে পশুপাখি হত্যা করা হয় সেই জায়গাও এড়িয়ে চলুন। অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। এই বিপদের পরিস্থিতিতে নিজেও ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলুন।