নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে দেশের পাশাপাশি রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের বাড়িতেই পৌঁছে গিয়েছে টু হুইলার থেকে ফোর হুইলার। আর এই ধরনের যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে যা প্রয়োজন হয় তা হল ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License)। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। জরিমানা থেকে শুরু করে অন্যান্য নানান শাস্তিও লাগু হয়।
অন্যদিকে সম্প্রতি লক্ষ্য করা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে টু হুইলার থেকে শুরু করে ফোর হুইলার যানবাহন চালকদের অনেকেই তাদের যানবাহন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে থাকেন। তারা তাদের মোটরবাইক বা গাড়ি ফুড ডেলিভারি থেকে শুরু করে যাত্রী বহন করার মতো কাজে লাগান। এমনকি এই ধরনের কাজে লাগানোই তা দিয়ে ব্যবসা করলেও অধিকাংশ জনই বাণিজ্যিক লাইসেন্স ব্যবহার করেন না। এবার এরই পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের নিয়মে বদল এনেছে।
আসলে এই ধরনের কাজকর্ম করার পিছনে অনেকেই জানেন না যে ফুড অথবা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার জন্য যে সকল মোটরবাইক বা গাড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলিতে বাণিজ্যিক লাইসেন্স থাকা দরকার। রাজ্য পরিবহন দপ্তর এবার এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসার পাশাপাশি সচেতনতার জন্য শিবির খুলেছে এবং সেখানেই বাণিজ্যিক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য সল্টলেকে শিবির খোলা হয়েছে। সেই শিবিরে এই ধরনের বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত মোটরবাইক বা চার চাকা চালকদের যেতে হবে।
বর্তমানে এই ধরনের বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না হলেও আগামী দিনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। সুতরাং আগে থেকেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন এবং যাদের কাছে বাণিজ্যিক ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদের বাণিজ্যিক ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নেওয়া দরকার। এখন প্রশ্ন হল বাণিজ্যিক লাইসেন্স তৈরি করাতে কত খরচ পড়ছে?
জানা যাচ্ছে, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত মোটর বাইক চালকদের আলাদা সিরিজের নম্বর দেওয়া হচ্ছে এবং নম্বর প্লেট হলুদ রংয়ের করা হচ্ছে। নতুন লাইসেন্স করানোর জন্য যে আবেদন করতে হবে তার জন্য খরচ হবে ১০০ টাকা। এর সঙ্গে আবেদন পত্র পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়াও নথিভুক্তিকরণের জন্য লাগছে ৩৪০ টাকা। সাধারণ যে সকল মোটরবাইক রয়েছে সেগুলিকে বাণিজ্যিক মোটর বাইকে রূপান্তরিত করার জন্য খরচ হবে ১০৯০ টাকা। নতুন নম্বর প্লেটের জন্য খরচ ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি যদি 5 জেলার পারমিট নেওয়া হয় তাহলে লাগবে ২০০০ টাকা।