Fossil Fuel: আরব না আমেরিকা! কারা সবচেয়ে তেল উৎপাদন করে থাকে? ভারত কত নম্বরে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Countries in the world have the largest reserves of Fossil Fuel: আধুনিক বিশ্বে জ্বালানি তেলের গুরুত্ব কিন্তু অনেকটাই বেশি। আমরা সকলেই জানি যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তেল উৎপাদন এবং বিক্রি করে আজ বিশ্বের ধনীতম দেশে পরিণত হয়েছে। তালিকাটি দেখলে জানতে পারবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে শীর্ষে রয়েছে। এই জ্বালানি তেলের কারণে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এত শক্তিশালী এবং ক্ষমতাবান। গোটা বিশ্বের কোন কোন দেশের ভান্ডারে কত পরিমান তেল (Fossil Fuel) আছে জানলে অবাক না হয়ে পারবেন না আপনিও।

Advertisements

আজকের প্রতিবেদন থেকে আপনি আপনার সমস্ত কৌতূহলের নিরসন ঘটাতে পারবেন। সমস্ত অজানা প্রশ্নের উত্তর এই প্রতিবেদন থেকে আপনি পেয়ে যাবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ তেল উত্তোলন করা হয় টেক্সাস এবং মেক্সিকো প্রদেশ থেকে। অবাক করা ঘটনা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে প্রতিদিন ২ কোটি ২১ লাখ ৩০০০ ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে। তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে সৌদি আরব। আবার রপ্তানির ক্ষেত্রে কিন্তু বিশ্বের মধ্যে এই দেশটি সবথেকে এগিয়ে আছে। গোটা বিশ্বের ১৭ শতাংশ তেল সৌদি আরবে সঞ্চিত আছে (Fossil Fuel)। এই দেশে মোট আয় এর অধিকাংশই আসে এই তেল থেকে অর্থাৎ দেশের জিডিপি ৫০ শতাংশ নির্ভর করছে কিন্তু জ্বালানি তেলের উপর।

Advertisements

এরপরে যে দেশটির নাম আসে সেটি হল রাশিয়া। এই দেশের বেশিরভাগ তৈল খনি পশ্চিম সাইবেরিয়ার উড়াল পর্বত অঞ্চলে অবস্থিত। আন্দাজ করা হয় যে, নিষেধাজ্ঞার কারণে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত তেল উত্তোলন হ্রাস করতে হতে পারে। সারা পৃথিবীর দশ শতাংশ তেলের যোগান কিন্তু দেয় এই রাশিয়া। প্রতিবছরে গড়ে দিন প্রতি ১ কোটি ৯ লাখ ৩৮ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন (Fossil Fuel) করেছে এই দেশটি। আজ এই দেশটি সস্তায় ভারত এবং চীনের কাছে তেল বিক্রি করে আর্থিক দিক থেকে যথেষ্টই সক্ষম হয়েছে। তালিকার চতুর্থ নাম্বারে যে দেশটির নাম রয়েছে সেটি হল কানাডা। এই দেশের বেশিরভাগ খনি অ্যালবার্টা প্রদেশে অবস্থিত। কানাডার মোট জ্বালানি তেলের ৯৭% উত্তোলন হয় এই অ্যালবার্টা প্রদেশ থেকে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Crude Oil: ডলারের বদলে Indian Rupee দিয়ে তেল কিনলে ভারতের লাভ কোথায়! জানুন ৩ পয়েন্ট

গোটা বিশ্বের মধ্যে চীন হল জ্বালানি উত্তোলনের পঞ্চম। চিনের দিন প্রতি তেল উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৫১ লাখ ১৯ হাজার ব্যারেল। আরো একটি বিষয় হলো তেল উত্তোলন করলেও চাহিদা মেটানোর জন্য চীনকে প্রচুর পরিমাণে তেল আমদানি করতে হয়। পরবর্তী স্থানটি দখল করেছে ইরাক। বিগত কয়েক বছর ধরে ইরাকে তেল উত্তোলন করার পরিমাণ কমে গিয়েছিল যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২২ সালে। ইরাকে তেল উত্তোলনের পরিমাণ ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার ব্যারেল। সপ্তম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, নিজেদের জায়গাকে বহু বছর ধরে তারা কায়েম রেখেছে। এই দেশটির তেল উত্তোলন করার পরিমাণ হলো ৪৫ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল। এই দেশে তেল সঞ্চয় করার পরিমাণ হল ৯৮ বিলিয়ন ব্যারেল (Fossil Fuel)। যা বিশ্ব জ্বালানি রিজার্ভের প্রায় পাঁচ শতাংশ।

তালিকার অষ্টম স্থানে যে দেশটির নাম রয়েছে সেটি হল ব্রাজিল। জ্বালানির কারণে অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই শক্তিশালী এই দেশ। পাশাপাশি রয়েছে জলবিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস, যারফলে ব্রাজিল সম্ভাবনাময় বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের পেট্রোলিয়াম এজেন্সি। বর্তমানে ব্রাজিলের লক্ষ্য সবথেকে বেশি পরিমাণে তেল উত্তোলন করা। ইরান নবম স্থান দখল করেছে এবং সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু তেল নয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিজার্ভের মালিক মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রে আমরা সর্বশেষে নাম করতে পারি কুয়েতের। মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটির তেল উত্তোলন ছিল দিন প্রতি ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ব্যারেল (Fossil Fuel)। কুয়েতে জিডিপির ৬০% আসে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। তাছাড়া দেশটির রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ আসে জ্বালানি তেল থেকে। তবে ভারতের স্থান প্রথম দশের মধ্যে নেই। সারা বিশ্বে তেল সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ভারতের স্থান হলো ২৪ তম।

Advertisements