লাল্টু : রবিবার সাতসকালে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত একটি ইটভাটায় যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে কি কারণে ওই যুগল এমন সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কারণ খুঁজতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিন লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিরুল গ্রামে ওই যুগলের মৃতদেহ স্থানীয় ইটভাটার কর্মীরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারপরেই ওই ইটভাটার কর্মীরা দুজনকে শনাক্ত করে তাদের বাড়িতে খবর দেন। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে প্রথমে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
মৃত ওই দুই যুগলের মধ্যে একজনের নাম অবিনাশ বাউরী (২০) এবং অন্যজনের নাম নন্দিতা বাউরী (১৬)। অবিনাশ দিনমজুরের কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে তার পরিবারের তরফ থেকে। অন্যদিকে নন্দিতা এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল।
তবে কি কারণে তারা দুজনে একসঙ্গে এমন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? তাহলে কি তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমঘটিত কোন সম্পর্ক ছিল? যদিও প্রেমঘটিত সম্পর্কের তত্ত্ব দুই পরিবারের সদস্যদের তরফ থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৃত অবিনাশের বাবা গোপাল বাউড়ী জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতেও অবিনাশ সাথে শুতে গিয়েছিল। এরপর কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। সকালে উঠে এই ঘটনা জানতে পারি। তবে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের কোন রকম সম্পর্ক ছিল কিনা তা আমরা জানতাম না।
একইভাবে মৃত নন্দিতা বাউরীর মা সুমিত্রা বাউরী জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোন রকম সম্পর্ক ছিল কিনা তা আমরা কেউ জানতাম না। আগে কোনদিন এই নিয়ে কোনো রকম কথাও ওঠেনি।