Paytm-এর লাকি ড্রয়ের নামে সর্বস্বান্ত দম্পতি, খোয়ালেন দেড় লক্ষাধিক টাকা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙ্কিং প্রতারণার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। নিজেদের অসাবধানতা এবং অসচেতনতাবসত বারংবারই টাকা খাওয়ানোর খবর সংবাদের শিরোনামে। আর এবারও একই ভাবে এক দম্পতি খোয়ালেন দেড় লক্ষাধিক টাকা।

Paytm এর লাকি ড্রয়ের নামে প্রতারিত ওই দম্পতি। প্রতারিত ওই দম্পতি দত্তপুকুর থানা অন্তর্গত দত্তপুকুরের বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ পেটিএমের লাকি ড্রয়ের নামে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১,৬৭,৬০০ টাকা গায়েব করে নেওয়া হয়েছে। টাকা গায়েব করার জন্য মোট পাঁচটি ট্রানজেকশন করা হয়েছে।

সর্বস্বান্ত ওই দম্পতির অভিযোগ, পেটিএমের আইডি থেকে এ মাসের ১৬ তারিখ একটি মেসেজ আসে। যে মেসেজে বলা হয় পেটিএম লাকি ড্র’তে তারা একটি টাটা সাফারি গাড়ি জিতেছেন। তারপর সেদিন সকাল দশটা নাগাদ সৌরভ হালদারের মোবাইলে ফোন আসে আর বলা হয় গাড়িতে না চাইলে ১২,৭৬,০০ টাকা নগদ পাবেন তারা। নগদ টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং আইএফএসসি কোড জানাতে হবে।

এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং আইএফএসসি কোড দেওয়ার পরই ওই হালদার দম্পতির অভিযোগ তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ১,৬৭,৬০০ টাকা। মোট পাঁচবারে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়। নিরুপায় ওই দম্পতি প্রথমে পেটিএম কাস্টমার কেয়ারে ফোন লাগান, কিন্তু সেখান থেকে কোনো সদুত্তর না মেলায় দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ অভিযোগ নিয়ে তাদের বারাসাত সাইবার সেলে পাঠায়।

এই ঘটনার পর ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে আরো বড়োসড়ো প্রশ্ন উঠেছে। কোনরকম ওটিপি অথবা কার্ড ডিটেলস না দেওয়া সত্ত্বেও কিভাবে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও আইএফএসসি কোডের মাধ্যমেই এত বিপুলসংখ্যক টাকা উধাও করা সম্ভব হলো! প্রশ্ন উঠছে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও আইএফএসসি দেওয়া ছাড়াও অন্যকিছু তথ্য তারা প্রতারণাকারীদের সাথে শেয়ার করেন নি তো? এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারাসাত সাইবার সেল।

সৌরভ হালদার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। আর এইভাবে সর্বস্বান্ত হতে হবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি।

যদিও এরকম ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পেটিএম কাস্টমার কেয়ার থেকে অনেকবার গ্রাহকদের সতর্ক করা হয়েছে এরকম লাকি ড্রয়ের গল্প সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এগুলি করা হয় মানুষকে প্রতারিত করার জন্য।