নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা প্রকোপ বাড়তে লকডাউন জারি হলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে রেশন খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সময়সীমা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চলতি বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে রেশনে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কথা বলা হলেও বেশ কিছু মানুষকে সমস্যায় পরতে দেখা গিয়েছিল লকডাউন চলাকালীন। কারণ তাদের কাছে ভর্তুকিযুক্ত ডিজিটাল রেশন কার্ড ছিল না। আর সেই সকল মানুষ যারা সত্যিই বিনামূল্যে রেশনের দাবিদার তাদের কথা ভেবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ফুড কুপনের বন্দোবস্ত করা হয়। যে ফুড কুপনের মাধ্যমেই তারা নিকটবর্তী রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানানো হয়। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত রেশনে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি কোন প্রকল্প কতদিন পর্যন্ত চলবে। এমত অবস্থায় জানা গিয়েছে, ফুড কুপনের মাধ্যমে গ্রাহকরা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী তুলতে পারবেন। আর এই সময়ের মধ্যে উপভোক্তা যদি হাতে ডিজিটাল রেশন কার্ড পেয়ে যান তাহলে তার ফুড কুপন বাতিল হয়ে যাবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে ৪৩ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে এককালীন কুপনের মাধ্যমে মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাল এবং পরিবার পিছু ২ কেজি করে ছোলার ডাল দেওয়া হচ্ছে। আর এই সকল অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে এই ধরনের কুপন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যের যেসকল উপভোক্তারা ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন সম্পূর্ণ করেছেন এবং তাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি হয়ে গেছে (সংখ্যাটা প্রায় ৭২ লক্ষ) অথচ লকডাউন চলার কারণে বাড়িতে এসেই কার্ড পৌঁছাতে পারেনি তাদের বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছিল। আর এই বিশেষ কার্ডগুলির মেয়াদ ৬ মাস। আবার যাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই অথচ রেশন খাদ্য সামগ্রী পেতে আগ্রহী তাদেরকেও ফুড কুপন দেওয়া হয়েছিল। ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই অথচ ফুড কুপনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করার মানুষের সংখ্যাটা প্রায় ৪ লক্ষ।