নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদির ব্রিগেডে ঘটা করে গেরুয়া শিবিরের নাম লিখিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুধু নাম লেখানো নয়, তার দুদিন পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাকে ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল ভোটের প্রচারে। এবার সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে একপ্রকার বিপাকে পড়তে দেখা গেল।
তার বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ভোট প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য। প্রশ্ন হল তার কোন মন্তব্যের জন্য এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল? ভোট প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তীর মুখ থেকে একাধিক জায়গায় শোনা গিয়েছিল বাংলা সিনেমার বহুল প্রচলিত ডায়লগ, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।’
এর পাশাপাশি শীতলকুচির ঘটনার পর তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ওখানে (শীতলকুচিতে) যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রণাম জানাই। কিন্তু কেন এই সব উসকানি দিয়ে চার জন মায়ের কোল খালি করে দেওয়া হল?’ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছিলেন।
পরবর্তীতে গত ৬ মে মানিকতলা থানায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মিঠুন চক্রবর্তীর বিরূদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের মৃত্যুঞ্জয় পাল। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীর এই সকল মন্তব্য সাধারণ সিনেমার বক্তব্য নয়। এই ধরনের বক্তব্য উত্তেজনায় প্ররোচনা ছড়ায়। ফলে কোথাও কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটলে তার দায় মিঠুনেরও।
[aaroporuntag]
আর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শিয়ালদহ-র এসিজেএম আদালত পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করলো। অন্যদিকে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১ জুন। আর এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আর এসবের পরেই ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মন্তব্য ভোটের প্রচারে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে মিঠুনকে। যদিও ভোটের ফলাফলের পর থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর আর দেখা নেই।