কোভিশিল্ডের থেকেও দাম বেশি কোভ্যাক্সিনের, কারণ জানালো বায়োটেক

Shyamali Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা প্রকোপকালে বিপুল পরিমাণে চাহিদা বেড়েছে ভ্যাকসিনের। আর এমত অবস্থায় কেন্দ্রের তরফ থেকে আগামী মে মাস থেকে ১৮ বছরের বেশি সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করে। পাশাপাশি জানানো হয় রাজ্যগুলি এবার থেকে ইচ্ছে করলে সরাসরি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি থেকে নিজেদের ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। আর এই ঘোষণার পরেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়ে দেয় তাদের থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হলে রাজ্যগুলিকে দিতে হবে প্রতি ডোজ ৪০০ টাকা।

অন্যদিকে কোভ্যাক্সিনের দাম ঘোষণার পর জানা যাচ্ছে তা কোভিশিল্ডের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজ দাম পড়বে ৬০০ টাকা। পাশাপাশি সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই ভ্যাকসিন কিনতে হলে প্রতি ডোজ খরচ করতে হবে ১২০০ টাকা করে। বিদেশে রপ্তানী করার ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজ খরচ হবে ১৫-২০ মার্কিন ডলার। কিন্তু কেন এতটা দাম বেশি?

সম্প্রতি ICMR-এর তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন ব্রাজিল, ব্রিটেন সহ একাধিক করোনা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর। সেই কারণে এই টিকার দাম অনেকটাই বেশি বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। পাশাপাশি সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “গত ২৫ বছর ধরে সাধ্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছি। করোনা প্রতিরোধে টিকার মতো আবিষ্কারের যাত্রাকে ধরে রাখতে অর্থ পুনরুদ্ধার দরকার। টিকার উৎপাদন থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের খরচ সংস্থার নিজস্ব তহবিল ও অর্থেই হয়েছে।”

[aaroporuntag]
সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এম ইল্লা জানিয়েছেন, “এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করতে সংস্থার অনেক বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। পাশাপাশি এই ভ্যাকসিনটি অত্যন্ত পরিশুদ্ধ ভ্যাকসিন। যে কারণে এর মূল্য এতটা ধার্য করা হয়েছে।”