করোনাজয়ীদের নিয়ে কোভিড-১৯ ক্লাব, করোনা জয়ের অভিনব হাতিয়ার জেলা প্রশাসনের

Madhab Das

Updated on:

হিমাদ্রি মন্ডল : বিশ্বজুড়ে খুদে ভাইরাস করোনা তার রাজ চালাচ্ছে। আর এই করোনা শাসনের হাত থেকে বাদ যায়নি ভারত, পশ্চিমবঙ্গ তথা বীরভূম। বীরভূমে এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৬ জন, যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন ৩০০ জন। বীরভূমে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে আর এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ২৩ জন। আর এই যে ৩০০ জন করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছেন তাদের নিয়েই অভিনব চিন্তা শুরু করল বীরভূম জেলা প্রশাসন।

করোনা জয়ীদের নিয়ে অভিনব পন্থা হিসেবে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কোভিড-১৯ ওয়ারিওর ক্লাব তৈরি হলো। যা নিয়ে শনিবার বীরভূমের সিউড়ির ডিআরডিসি হলে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার শ্যাম সিং, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। যে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন জেলার ৫০ জনের মত করনা জয়ীরা। তাদের সামনে এদিন জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কোভিড-১৯ ক্লাব গঠন করার পরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি কাজের সুযোগ তুলে দেয়। কাজ বলতে দু’রকম এক তারা ১০০ দিনের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন অথবা দুই তারা নিজেদের করোনা যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন। দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে অর্থ উপার্জনের বড় সুযোগ।

প্রশাসনিকভাবে যেটুকু জানা গেছে তাতে যে সকল করোনা জয়ীরা নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত করতে চান তারা মাসে ১৫০০০ টাকা মত পারিশ্রমিক হিসাবে পেতে পারেন। আর ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে কাজের মতই উপার্জনের সুযোগ। কিন্তু কেন এই সকল করোনা জয়ীদের এইভাবে করোনা যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামিল করার পরিকল্পনা করল বীরভূম জেলা প্রশাসন!

এনিয়ে বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, “যেহেতু ইনারা আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাই তাদের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে কিভাবে করোনা জয় করা যায়। করোনা জয় করার ক্ষেত্রে কেমন ভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হয়। করোনা জয়ের ক্ষেত্রে কিভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। তাই এই সকল করোনা জয়ীদের বেছে নেওয়া হয়েছে এই ক্লাব গঠনের ক্ষেত্রে। অবশ্য যারা সদিচ্ছায় যোগ দিতে চান তাদেরই এই ক্লাবের সদস্য হিসাবে নেওয়া হবে।”

কোভিড-১৯ ক্লাবের সদস্যদের কি কাজ হবে?

কোভিড-১৯ ক্লাবের সদস্যদের কাজের বিষয়ে এদিন জেলাশাসক জানান, “এই সকল সদস্যদের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতলে নিয়োজিত করা হবে। সেক্ষেত্রে তারা জেলায় থাকতে চাইলে জেলাতেও থাকতে পারেন, চাইলে কলকাতা অথবা অন্যান্য জেলাতেও যেতে পারেন। খাবার-দাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা, কোন করোনা আক্রান্ত রোগীকে কাউন্সিলিংয়ের জন্য সাহায্য করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে এদের নিয়োজিত করা হবে। কারণ ইনারা হলেন করোনা জয় করে নিজেরাই এক একটা উদাহরণ।”