নিজস্ব প্রতিবেদন : ভবানীপুরের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা করার পর বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ সিপিএম প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে শ্রীজীব বিশ্বাসকে। হেভিওয়েট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে শ্রীজীব বিশ্বাস কোন হেভিওয়েট প্রার্থী নন। তিনি পেশায় আইনজীবী এবং বাম মনোভাবাপন্ন।
ইতিমধ্যেই তিনি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমা দিয়েছেন হলফনামা। যেখান থেকে জানা যাচ্ছে তার সম্পত্তির পরিমাণ, জানা যাচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকার অধিকারী এই বাম প্রার্থী।
হলফনামা অনুযায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ২৯৯ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে আয় ছিল ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৮০ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আয় ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭২৩ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেন ৫ লাখ ১৫ হাজার ২০০ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আয় ছিল ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭২ টাকা।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার হাতে নগদ ছিল মাত্র ১০,০০০ টাকা। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩২ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ টাকা ৫২ পয়সা। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে এই সকল টাকা। তবে তার নামে কোন রকম চাষযোগ্য অথবা অচাষযোগ্য জমি নেই, বাড়ি ঘরও নেই।
তবে নিজের নামে জমি অথবা ঘরবাড়ি না থাকলেও রয়েছে একটি চারচাকা গাড়ি। বাম এই প্রার্থীর নামে থাকা টাটা নেক্সন গাড়িটির মূল্য হল প্রায় ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার। তবে এর পাশাপাশি বাম এই প্রার্থীর রয়েছে ব্যাঙ্কে লোন। গাড়ি কেনার জন্য ঋণ হিসাবে তিনি এই টাকা নিয়েছিলেন। বর্তমানে এই হাতে তার লোন রয়েছে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৪ টাকা।
শ্রীজীব বিশ্বাস ২০১৩ সালে কলকাতা ইউনিভার্সিটির হাজরা ক্যাম্পাস থেকে আইনে স্নাতক হন। পেশায় আইনজীবী এই যুবক এই প্রথম কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।