বাংলায় করোনা টেস্ট এড়ানো হচ্ছে কেন? ১৫ দফা দাবিতে বামেদের ডেপুটেশন

নিজস্ব সংবাদদাতা : নাইসেডের কাছে পর্যাপ্ত কিট থাকা সত্ত্বেও বাংলায় করোনা পরীক্ষা এড়ানো হচ্ছে কেন? অবিলম্বে করোনা রুখতে রাজ্য সরকারকে লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেই হবে। এই দাবিতে লকডাউনের মধ্যেই লকডাউনের বিধি মেনেই জেলাশাসক থেকে শুরু করে মহকুমা শাসক এবং ব্লকে ব্লকে বিডিওদের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলো সিপিআই (এম)।

বুধবার সকালে সিউড়িতে জেলাশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি। গলায় দাবি সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নির্দিষ্ট সংখ্যায় সিপিআই (এম) কর্মীরা এই স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে সামিল হয়েছিলেন। স্মারকলিপি জমা দিয়ে দাবি করা হয়েছে ডাক্তার, নার্স সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করে সব হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত রাখতে হবে। করোনায় সংক্রামিত ও মৃতের সংখ্যা আড়াল করে রাজ্যবাসীকে আরও বড় বিপদে ফেলা চলবে না। রেশন কার্ড থাক বা না থাক সব গরিব মানুষকে পরিবার পিছু মাসিক ৩৫ কেজি চাল ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ৫০০০ টাকা, রাজ্য সরকারকে ২০০০ টাকা সব গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক একাউন্টে দিতে হবে। অবিলম্বে রেশনের চাল পাচার, দুর্নীতি ও কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে ভেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে তাদের খাবার ও থাকা নিশ্চিত করে এলাকায় ফিরিয়ে আনার দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিন সিউড়ি ছাড়াও রামপুরহাট ও বোলপুর মহকুমায় ও সিউড়ি ১, ময়ূরেশ্বর ১, নলহাটি ২, দুবরাজপুর, নানুর, খয়রাশোল, রাজনগর, লাভপুর, সাঁইথিয়া প্রভৃতি ব্লকেও দেওয়া হয়েছে ডেপুটেশন।