নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিযুক্তদের জন্য নতুন আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এই আইন অপরাধী সনাক্ত করার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে দেবে। যদিও এই বিল নিয়ে বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে বিরোধিতা করা হয়। পরে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিরোধীদের আপত্তির বিষয়গুলিকে সংশোধন করা হয়।
নতুন যে আইন আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার তার পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভায় পেশ করা হয় অপরাধী সনাক্তকরণ বিল (২০২০)। লোকসভায় এই বিল পেশ করা এবং পাশ করার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন, বিরোধীদের আপত্তির বিষয়গুলি সংশোধন করা হবে।
এর পাশাপাশি নতুন এই বিল পেশ করার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, অপরাধ মোকাবিলার জন্য পুরাতন যে পদ্ধতি বা কৌশল রয়েছে তা ব্যবহার করে আগামী প্রজন্মের অপরাধ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। যে কারণে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে পরবর্তী যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গত মার্চ মাসের ২৮ তারিখ এই বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়। নতুন এই বিলে বলা হয়েছে, নতুন এই আইন পাস হলে অপরাধী শনাক্ত করার জন্য পুলিশ চাইলে অভিযুক্তের হাত ও পায়ের ছাপের সঙ্গে ওই ব্যক্তির চোখের মণি, রেটিনার স্ক্যান এবং ডিএনএ-র নমুনাও সংগ্রহ করতে পারবে। এমনকি পুলিশ চাইলে ধৃত ওই ব্যক্তির নার্কো পরীক্ষা ও ব্রেন ম্যাপিং-ও করতে পারবে। এই বিলের ক্ষেত্রে বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে।
যদিও পরে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া ব্রেন ম্যাপিং বা নার্কো পরীক্ষা করা হবে না। এর পাশাপাশি যে সকল আসামিরা সাত বছরের কম সাজাপ্রাপ্ত, তারা চাইলে চোখের মণি, রেটিনার স্ক্যান বা ডিএনএ নমুনা নাও দিতে পারেন।