Cruise service launched in Digha sea under the initiative of state government: বাঙালিদের ভ্রমনের খুবই প্রিয় একটি ভ্রমণের জায়গা হলো দীঘা। বছরের বিভিন্ন সময় এখানে পর্যটকদের ভিড় জমে। বাঙালিরা ব্যাস্ততার ফাঁকে সময় পেলেই দীঘা থেকে ঘুরে আসে। তবে শুধু বাঙালি নয়, দেশ বিদেশের বহু পর্যটক এখানে ঘুরতে আসে। আর তাই পর্যটকদের কথা ভেবে দীঘায় নতুন এক চমক আনতে চলেছে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর। দুর্গাপুজোর সময় যে সব মানুষ দীঘা ভ্রমণের পরিকল্পনা করে রেখেছেন, তাদের জন্য পুজো উপলক্ষে নতুন উপহার আনছে রাজ্য সরকার। কেননা পুজোর আগেই দীঘায় চালু করা হবে ক্রুজ পরিষেবা। এই ক্রুজ পরিষেবার (Cruise service in Digha) ফলে দীঘার আকর্ষণ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন দপ্তর।
ক্রুজ পরিষেবা আসলে এক ধরণের প্রমোদতরী। এর আগে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর সুন্দরবনে এই ধরণের প্রমোদতরী পরিষেবা শুরু করেছিল। এবার সুন্দরবনের পর দীঘার সমুদ্রে চলবে প্রমোদতরী। রাজ্যের পরিবহন দপ্তর সূত্রে এমনই খবর উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, সুন্দরবনের প্রমোদতরীর মতো করে তৈরি করা হবে দিঘার প্রমোদতরী। দীঘার ক্রুজ পরিষেবা (Cruise service in Digha) পিপিপি মডেলে চলবে। জানা যাচ্ছে একটি ক্রুজে একসঙ্গে ৮০ জন যাত্রী উঠতে পারবে। দীঘায় ক্রুজ পরিষেবা শুরু করার জন্য টেন্ডারের কাজ চলছে। টেন্ডার প্রকাশিত হলেই শুরু হবে ক্রুজ পরিষেবা। আর এই পরিষেবা শুরু হলে আগের থেকে দীঘায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর।
পুরানো দীঘা থেকে ক্রুজ ছাড়বে। যা নয়াখালী মন্দির থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভ, শঙ্করপুর, মন্দারমণি সহ আরো অনেক খাড়ি অঞ্চলে ক্রুজে করে ঘোরানো হবে। সমুদ্রে বক্ষে ‘এমভি নিবেদিতা’ প্রমোদতরী করে ঘোরানো হবে প্রায় ২৯ কিমি। এর জন্য মোট ১ ঘন্টা সময় থাকবে। দিনে দুটো করে ভ্রমণ করানো হবে। রাজ্যের পর্যটন দপ্তর সূত্রে এমনই খবর উঠে আসছে। এই ক্রুজ পরিষেবা (Cruise service in Digha) পরিচালনা করবে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
এ বিষয়ে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘সব বিষয়গুলি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য প্রমোদতরী পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে।’ এই পরিষেবা চালু হলে যে কোনো অনুষ্ঠান বা পার্টির জন্য ক্রুজ ভাড়া নেওয়া যাবে। দিঘায় এই ক্রুজ পরিষেবা (Cruise service in Digha) শুরু হলে একদিকে যেমন পর্যটকদের আকর্ষক বাড়বে, তেমনই রাজ্যের কোষাগারও আর্থিক ভাবে বৃদ্ধি পাবে।