নিজস্ব প্রতিবেদন : জুলাই মাসের ১৪ তারিখ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। যে অভিযান ভারতের নাম চন্দ্রাভিযানে বিশ্বের দরবারে স্বর্ণাক্ষরে লিখে দেয়। তবে সম্প্রতি এই অভিযানের রকেটের যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এই ঘটনায় মানুষের মনে বিপত্তির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ১৪ জুলাই যে LVM3 M4 লঞ্চ ভেহিকেলের মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথে সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছিল চন্দ্রযান ৩ কে, তার আপার ক্রায়োজেনিক স্টেজটি বুধবার নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসার জন্য বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করেছে। এই বিষয়টি এখন সাধারণ মানুষদের কাছে কৌতূহলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কি হবে তা নিয়ে।
ইসরোর তরফ থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে ওই আপার ক্রায়োজেনিক স্টেজটি খুব সম্ভবত প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়বে। তাদের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এটি ভারতের আশেপাশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম। অন্যদিকে এটি যেখানেই আছড়ে পড়ুক না কেন, এর আছড়ে পড়ার কারণে যাতে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইসরো থেকে জানা যাচ্ছে, বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর ২টো ৪২ নাগাদ ওই যন্ত্রাংশ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। উৎক্ষেপণের ১২৪ দিনের মধ্যেই সেটি পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার জন্য বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করেছে। চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের পর যখন পৃথিবীর কক্ষপথে তাকে স্থাপন করা হয় তখনই প্যাসিভ হয় LVM3 M4 লঞ্চ ভেহিকেলের আপার ক্রয়োজেনিক স্টেজটি। এরপর ইন্টার এজেন্সী স্পেস ড্রেবি কো-অরডিনেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়।
মহাকাশে মহাকাশযান পাঠানোর পর যন্ত্রাংশ পৃথিবীতে ফিরে আসার ক্ষেত্রে যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয় অথবা বড় ধরনের কোন বিস্ফোরণ না হয় তার জন্য সেখানে থাকা সমস্ত জ্বালানি ইতিমধ্যেই মহাকাশে ত্যাগ করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সমস্ত রকম পরবর্তী ডিসপোজাল করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক গাইডলাইন মেনে। যে কারণে এই যন্ত্রাংশ পৃথিবীতে ফিরে আসার ক্ষেত্রে যে সকল বিপত্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে সেই আশঙ্কা নেই বললেই চলে।