করোনার দুর্বল জিন আবিষ্কার করে বিশ্বকে চমক দিলো ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদন : চীনের উহান প্রদেশ থেকে করোনো ভাইরাস গত ডিসেম্বর থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা পৃথিবীতে। রূপান্তরিত হতে থাকা এই ভাইরাসে পৃথিবী জুড়ে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণাগারে শুরু হয় করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা। চীনের করোনা ভাইরাস নিজেকে রূপান্তরিত করে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে ইউরোপ, আমারিকা, ইরানে। ইতিমধ্যে ইতালির গবেষকরা জানাচ্ছেন সেদেশে করোনা ভাইরাসের ক্ষমতা কমে আসছে। যদিও ইটালির সরকার জানিয়েছে সম্পূর্ণ তথ্য হাতে না আসা পর্যন্ত এখনই কোন সিদ্ধান্ত আসা যাবে না।

তবে এবার ভারতে করোনার দুর্বল জিনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৬৪টি জিনোম সিকোয়েন্সর খবর দিয়েছে সিএসআইআর। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, তেলঙ্গানা থেকে কোভিড রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখানে ভাইরাল স্ট্রোন বার করে অবাক হয়ে যান সায়েন্টিফিক অ্যান্ড রিসার্চ-এর বিজ্ঞানী দল।

সিএসআইআর-এর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবে কাজ চলছে জিনোম সিকোয়েন্সের। সারা বিশ্বে কিভাবে ভাইরাসের প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে এবং বিশ্বের অনান্য ভাইরাসের সঙ্গে এর কি কি মিল আছে এটা বোঝার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের সুবিধা হবে।

যদি ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ পেরিয়েছে তবু মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম এবং সেরে ওঠার সংখ্যা অনেক বেশি। ভারত খুব দ্রুত হিউম্যান ট্রায়াল হবে বলে সূত্রের করে। যাতে করোনার প্রভাব অনেকটাই বোঝা যাবে এবং ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে দ্রুত গতি আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই নতুন আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসায় কতটা সফলতা মিলতে পারে?

জেনেটিক মিউটেশন অথবা জিনের গঠনগত বদল দেখার জন্য তার বিন্যাস বের করতে হয়। যেটি সবথেকে উল্লেখযোগ্য তা হল, জিন ঠিক যেমন থাকার কথা ছিল তেমনটা আছে কিনা। নাকি তার পরিবর্তন ঘটেছে এবং কতটা পরিবর্তন ঘটেছে। আর এই পুরো পদ্ধতিটিকেই বলা হয় জিনোম সিকুয়েন্সিং। আরে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকেই দুর্বল জিনের খোঁজ মিলেছে।

ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, প্রতিটি ভাইরাসের মত এই ভাইরাসেরও একটি দুর্বল দিক নিশ্চয়ই আছে। এর মধ্যেও এমন জিন থাকবে যার মিউটেশন হয়না অথবা কম হয়। আর যদি সেখানেই টার্গেট করে ওষুধ অথবা প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয় তাহলে রুখে দেওয়া যাবে এই ভাইরাসকে। আর ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই নতুন খোঁজ করোনা চিকিৎসায় নতুন সুযোগ এনে দেবে কিনা তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে বিজ্ঞানীমহল।