ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে উধাও অস্বস্তিকর গরম, তাপমাত্রার পতন ৯ ডিগ্রি

নিজস্ব প্রতিবেদন : একে করোনাতে রক্ষে নেই আবার এই ঘূর্ণিঝড় আমফান হয়েছে দোসর। পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার এখন ঘূর্ণিঝড়কে নিয়েই ভাবনা। তবে সমস্ত খারাপ জিনিসের পিছনে যেমন একটা ভালো খবর থাকে ঠিক তেমনি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের আগমনের পিছনেও আছে একটি সুসংবাদ। উত্তরোত্তর যে হারে গরম বেড়েই চলেছিল এই ঘূর্ণিঝড়ের আগমনের সাথে সাথে সেই আবহাওয়া পুরো পাল্টে গেছে।

সোমবার অবধি যে গুমোট পরিবেশ ছিল তা যেন এক ধাক্কায় কোথায় হারিয়ে গেল।মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার মোটামুটি সব জায়গায় একটানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সকাল থেকে বাতাসে একটা শিরশিরানি ভাব অনুভব করতে পারছি আমরা সকলেই।

ঘূর্ণিঝড়ের আগমনের ফলে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি কমে গেল। গ্রীষ্মের গুমোট গরম ভাব কেটে একটা শীতল হাওয়া আমরা অনুভব করতে পারছি। তাপমাত্রাও এখন ২৭ ডিগ্রির কাছে। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ দিঘার কাছে সুপার সাইক্লোনটি আছড়ে পরে আর এরপর থেকেই বৃষ্টির বেগ বাড়তে থাকে।

তবে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। এদিন রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত বৃষ্টি একনাগাড়ে চলতে পারে। আগামীকাল সকালেও আশা করা যায় একই রকমই আবহাওয়া থাকবে।তবে আগামীকাল বিকেলের পর থেকে দুই‌ ২৪ পরগনা হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, কলকাতাতে বৃষ্টির দাপট কমলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দাপট বাড়বে এমনটাই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।

বুধবার আলিপুর হওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৯ ডিগ্রি কম। আর শ্রীনিকেতন হওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১২ ডিগ্রি কম।