শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, কতটা প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফান এখনো পর্যন্ত ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করলেও ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। শক্তি সঞ্চয় করার পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে তার গতিতে যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে তা আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তবে গতিপথ পরিবর্তনের ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়।

বিভিন্ন আবহাওয়া এজেন্সি জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় আমফান মে মাসের ১৯ অথবা ২০ তারিখে স্থলভাগের উপর এসে পৌঁছাতে পারে। আর মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে সাগরের মধ্যে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করার পূর্বাভাস রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের। সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণবঙ্গের মধ্যস্থলে এসে পৌঁছবে।

আবহবিদরা অনুমান করছেন, এই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের মতই ঝাঁপিয়ে পড়বে স্থলভাগে। আর এই ঘূর্ণিঝড় যদি গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের লক্ষ্য করে এগোতে থাকে তাহলে তার কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপর। আবার এই ঘূর্ণিঝড় যদি কোনওভাবে হঠাৎ মায়ানমারের দিকে যেতে শুরু করে তখন তার প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে৷ দক্ষিণবঙ্গের উপকূল লাগোয়া দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায়। যার ফলে ব্যাপক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকছে।

অন্যদিকে ইন্ডিয়ান মেটিওরলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফান একেবারে উত্তর দিকে চলে যেতে পারে।এমনটা হলে ভারতের উপকূলবর্তী এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।