বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে ফণীর মতোই এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান

নিজস্ব প্রতিবেদন : আবহবিদেরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন ঘূর্ণিঝড় আমফান বিপুল শক্তি সঞ্চয় করবে। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো সোমবার বিকাল বেলায়। সোমবার বিকেলে বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে এই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘সুপার সাইক্লোনিক স্টর্ম’-এ। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।

মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা বাঁক নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে থাকবে। বিপর্যয় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৈঠক সেরেছেন। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলার ৭টি দল এসে পৌঁছেছে। ওড়িশার এসে পৌঁছেছে ১০টি দল।

সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আবহাওয়া দপ্তর এই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে যে রিপোর্ট দিয়েছে তা থেকে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকূল থেকে এই ঘূর্ণিঝড় ৮৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আর বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১০১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। বুধবার দুপুরে এই ঘূর্ণিঝড় ঢুকে পড়বে দীঘার স্থলভাগে। স্থলভাগের আছড়ে পরার পর এর গতিবেগ থাকতে পারে ১৬৫ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণনের গতিবেগ ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দীঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত ও উপকূলবর্তী এলাকা। তবে ২০ তারিখ রাতের দিকে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড় আমফান ফণী ঘূর্ণিঝড়ের মতই সুপার সাইক্লোনে পরিণত হচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি শুরু হবে উপকূলবর্তী এলাকায়। বুধবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।