আরও শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, এগোচ্ছে রাজ্যের দিকেই

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ে। প্রতিনিয়ত শক্তি সঞ্চয় করার ফলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে এই ঘূর্ণিঝড় আমফান। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে তাইল্যান্ড।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে এই নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করেছে। আজকের মধ্যেই এই নিম্নচাপ পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। আর এরপর রবিবারেই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে। প্রথম দিকে এই ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। এর পরেই গতিপথের পরিবর্তন ঘটবে ঘূর্ণিঝড়ের। ঘূর্ণিঝড় এগোবে ক্রমশ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে। জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে স্থলভাগের প্রবেশ করার পর এই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি হ্রাস পাবে। যে শক্তি নিয়ে স্থলভাগে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবেশ করবে তাতে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আর মঙ্গলবারের পর বুধবার ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি এই সাত জেলায় মঙ্গল ও বুধবার ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। স্থান বিশেষে এই ঝড়ের গতিবেগ ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে। এই দুদিন দক্ষিণবঙ্গের এই সাত জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

তবে দক্ষিণবঙ্গের এই সাত জেলা ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার এই সকল জেলাতে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি জানানো হয়েছে রবিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করবে।