নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে অশনি। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে রয়েছে বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৪০ কিলোমিটার এবং পুরি থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ১২ ঘন্টায় এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি বৃদ্ধি করে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। শক্তি সঞ্চয় করার পর এই ঘূর্ণিঝড় আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ মে সন্ধ্যাবেলায় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়কে তার গতি প্রকৃতি গিরগিটির মতো বারবার বদল করতে দেখা যাচ্ছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের যথেষ্ট লক্ষ্য করা যাবে বলে জানাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস। কারণ হিসাবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ মে এই ঘূর্ণিঝড়ের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করার পর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার থেকেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি লক্ষ্য করা যেতে পারে। হালকা ধরনের বৃষ্টি লক্ষ্য করার পাশাপাশি বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে ৭-১১ সেন্টিমিটার। এর পাশাপাশি ১০-১২ মে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
— IMD Kolkata (@ImdKolkata) May 8, 2022
ঘূর্ণিঝড় অশনির দাপটে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। যে কারণে মৎস্যজীবীদের আগামী ৯ মের মধ্যেই ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ১০ তারিখ থেকে সম্পূর্ণভাবে সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।