নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক তীব্র দাবদাহের পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে বাংলায়। কালবৈশাখী, ঝড়, বৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এরই মধ্যে আবার অশনিসংকেত নিয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় অশনি।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আগামীকাল এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। এরপর রবিবার সন্ধ্যা বেলায় তা ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে।
এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের উপর প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম কৌতুহল তৈরি হয়েছে। যদিও হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার সন্ধ্যায় এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এরপর এই ঘূর্ণিঝড় আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার উত্তর অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে, যদি না অভিমুখ পরিবর্তন করে।
এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার ক্ষেত্রে যে অশনি সংকেত লক্ষ্য করা গিয়েছে তার থেকে ওড়িশার ১৮টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সকল জেলাগুলি হল খুরদা রোড, কটক, গঞ্জাম, গজপতি, পুরী, জগৎ সিং পুর, কেন্দ্রাপাড়া, জজপুর, ভদ্রক, বালাসোর, নয়াগড়, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝর, ঢেঙ্কানল, মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড় এবং কান্ধামাল।
সরাসরি এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর নাও পড়তে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাংলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ‘অশনি’ মোকাবিলায় তৎপরতা শুরু করেছে নবান্ন। সুন্দরবনে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।