Advertisements

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে বাংলার দুশ্চিন্তা কতটা, কি বলছে হাওয়া অফিস

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের মরশুম কাটার পর মার্চ মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রার পারদ বাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গ-সহ রাজ্যজুড়ে। সম্প্রতি এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি অনেকটাই বেড়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বর্তমানে ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়েই এই অসহ্য পরিস্থিতি নাজেহাল অবস্থা করছে।

Advertisements

তবে এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে থেকেই এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানা যাচ্ছিল বিভিন্ন হাওয়া অফিস সূত্রে। এবার সেই পূর্বাভাসকেই স্বীকৃতি দিল আলিপুর হাওয়া অফিস।

Advertisements

আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার বিষয়ে যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে তার পরিপ্রেক্ষিতে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে কতটা পড়বে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এই নিয়েই বিস্তারিত জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

Advertisements

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, বর্তমানে দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে আগামী ২১ মার্চ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হবে আন্দামান সাগরের কাছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর তা পূর্ব উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এবং বাংলাদেশ অথবা মায়ানমার উপকূলে আঘাত হানবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা পড়তে পারে তার সম্পর্কে এখনই কিছু জানানো সম্ভব হয়নি আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কি রূপ থাকবে তাও এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যায়নি। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর গতিপথ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অভিমুখ হবে না বলেই আশা করছে হাওয়া অফিস।

Advertisements