নিজস্ব প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। তবে বর্ষা বিদায় নিলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়া করছে না এখনই। কানাডার আবহাওয়া গবেষণাগারের পূর্বাভাসকে সত্যি করে একটি নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। যদিও কানাডার আবহাওয়া গবেষণাগারের পূর্বাভাস অনুযায়ী সুপার সাইক্লোন তৈরি হচ্ছে না, তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে সেই নিম্নচাপ গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস মিলতেই দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে উড়িষ্যা সরকার তাদের উপকূলবর্তী সাতটি জেলাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর ল্যান্ডফল হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা উপকূলে। সেখানে ল্যান্ডফল না হলে পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশ উপকূলে ল্যান্ডফল হতে পারে।
পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে উড়িষ্যা সরকারের তরফ থেকে গঞ্জাম, পুরী, খুরদা, জগৎসিংপুর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপারা ও বালাসোর জেলার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে ঠিক কবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে তা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত সঠিক কোন বার্তা দেওয়া না হলেও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কিছু আশঙ্কার কথা।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া শেষ রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হবে। তারপর তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ২২ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি জায়গায় এসে পৌঁছাবে, সেই নিম্নচাপ। তারপর তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং প্রভাব শুরু হবে ২৩ অক্টোবর থেকে। ল্যান্ডফল হওয়ার জোড় সম্ভাবনা রয়েছে ২৪ অথবা ২৫ অক্টোবর।