ঘূর্ণিঝড় যশ-এর পর ধেয়ে আসছে ‘গুলাব’, শীঘ্র প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবের তছনছ হয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা। এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এরপর আবার সম্প্রতি আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে বলেই জানা যাচ্ছে। নতুন করে যে ঘূর্ণিঝড়টি ধেয়ে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তা হল ‘গুলাব’। পাকিস্তানের রাখা নামের এই ঘূর্ণিঝড় খুব শীঘ্র প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি করছে।

Advertisements

এমনিতেই দিন কয়েক ধরে জোড়া নিম্নচাপের কারণে নাজেহাল অবস্থা হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলার বাসিন্দাদের। নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। মৃত্যু হয়েছে কুড়ির কাছাকাছি মানুষের। এরই মধ্যে নতুন করে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের বাসিন্দারা।

Advertisements

এই ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে জলীয়বাষ্প সঞ্চয় করে শক্তি বাড়াচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিস সূত্রে। পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবারই হয়তো এটি আছড়ে পড়বে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে। তবে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়লেও এই ঘূর্ণিঝড়ের অল্প হলেও প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় যে সকল এলাকায় আছড়ে পড়বে সেখানে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisements

যদিও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো অব্দি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অতোটা উদ্বেগের কারণ নেই। কারণ এর সম্ভাব্য গতিপথ ভুবনেশ্বর ও ভাইজ্যাক। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড় আরও দক্ষিণের দিকে সরে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

তাহলে ও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপ রূপে রয়েছে। শক্তি সঞ্চয় করতে করতে তার প্রতি গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ অন্যদিকে হলেও এখনই দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না পশ্চিমবঙ্গের। কারণ জোড়া ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আগামী ২৬ অথবা ২৮ তারিখ থেকে ভারী বৃষ্টির সাক্ষী থাকতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে নবান্নে তরফে। উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে।

Advertisements