শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : গত কয়েকদিন ধরে টিভির পর্দা থেকে অনলাইন পোর্টাল, একই খবর, তা হলো ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। প্রতিমুহূর্তে আমরা ‘জাওয়াদ’-এর গতিপথ থেকে শুরু করে সমস্ত রকম আপডেট পাচ্ছি। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতে অনেক আগে থেকে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছিল ‘জাওয়াদ’ সম্পর্কে। এমনকি চাষীদের জন্য নানা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। মৎস্যজীবীদের সতর্কতার মাধ্যমে সমুদ্রে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এককথায় ‘জাওয়াদ’ আতঙ্কে ভীত ছিল সব্বাই।
কিন্তু বর্তমানে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘জাওয়াদ’ গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ক্রমশ শক্তিক্ষয় করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে বাংলার উপকূলে তা আর ভয়ঙ্কর রূপ নেবে না। তার পরিবর্তে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ বদলেছে ঝড়। ফলে বাংলাতে বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা বাড়লো।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ক্রমশ শক্তিক্ষয়ের মাধ্যমে পুরী পৌঁছনোর পূর্বেই শক্তিহীন হয়ে পড়বে ‘জাওয়াদ’। ৬ ঘণ্টা যাবৎ ১১ কিমি বেগে এগোচ্ছে ঝড়। রবিবার পুরীতে আছড়ে পড়ার পর তা দুর্বল হয়ে বাংলায় গভীর নিম্নচাপ হিসেবে প্রবেশ ঘটবে ‘জাওয়াদ’-এর।
নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার ফলে বঙ্গবাসীর ছুটির দিনে ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হবে। কারণ সারাদিন রাত চলবে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাত। বিভিন্ন জেলাগুলি যেমন উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া জেলাগুলিতে ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে চলবে ভারী বৃষ্টিপাত।
রবিবার সকাল থেকে দীঘার সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে আগাম সতর্কতা জারির মাধ্যমে মৎসজীবী এবং পর্যটকদের সমুদ্রে না যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নবান্নের তরফ থেকে, মানুষকে সঠিক নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে ৪২টি রিলিফ ক্যাম্প এবং ১১৫টি সাইক্লোন সেন্টার ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। কাজের সুবিধার্থে মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ, বিদ্যুৎ, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। NDRF-এর টিমকে সর্বত্র মোতায়েন রেখে নজরদারি চলছে।