নিজস্ব প্রতিবেদন : আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন এবং এর মাঝে গত কয়েকদিন থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড় নিয়ে। সেই আশঙ্কাতেই সিলমোহর দিয়েছে হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী সোমবার এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এর নাম হতে পারে ‘অশনি’। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বলে জানা যাচ্ছে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে শুক্রবার যে বুলেটিন দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে সেই নিম্নচাপ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৮টা ৩০মিনিট নাগাদ সেই নিম্নচাপ অবস্থান করছিল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও পূর্ব নিরক্ষীয় ভারতীয় মহাসাগরের উপর।
এর পাশাপাশি বলা হয়েছে শনিবার এই নিম্নচাপ অবস্থান করবে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বরাবর তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর সোমবার এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর তা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূলে পৌঁছে যেতে পারে। এর প্রভাবে শনিবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। রবিবার বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গা ছাড়া বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। সোমবারও কয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
এর পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব কি পড়তে চলেছে তা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে এর প্রভাব খুব একটা পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্য করা যাবে না।