করোনা আবহের মাঝেই ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা আবহের মাঝেই বঙ্গোপসাগরের বুকে দেখা দিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভবনা। সেই আশঙ্কা সত্যি হয়ে দেশের অভ্যন্তরে আছড়ে পড়লে বড়সড় বিপদের মুখে পড়বে দেশ। দীর্ঘ লকডাইনের ফলে দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে এই বিপর্যয় এলে প্রশাসনের পক্ষে তা সামলানো যে কঠিন হয়ে পড়বে তা মনে করছেন দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের প্রথম দিকে আন্দামান লাগোয়া দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা আছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কতটা হবে, কোন অভিমূখে হবে তা বোঝা যাবে অল্প সময়ের মধ্যে।

মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল ম্যানেজার মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, বর্ষার আগে ও পরে দু দফায় ঘূর্ণিঝড়ের মরসুম। এই সময় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল সময়। এই ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে। আশঙ্কা দিন সাতেকের মধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পূর্ব দিকে আত্ম প্রকাশ করবে। প্রথমে এর প্রভাব পড়বে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিকে, এরপর এর অভিমূখ কোন দিকে হবে তা বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মোসম দপ্তরের।

তবে মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপমহা নির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “২৭ এপ্রিলের দিকে এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে উদয় হতে পারে, তব মূল ভূখন্ডে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এখনো দেখা দেয় নি। তবে আশার কথা এপ্রিলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ভারতের মূল ভূখণ্ডে কখনো আছড়ে পড়েনি। আসেনি বাংলার দিকেও। অভিমূখ ঘুরে গেছে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে। তবে ব্যতিক্রম প্রবণতাও দেখা গেছে। এপ্রিলে সৃষ্ট ফণি ওড়িশার বুকে আছড়ে পড়েছিল, যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল বাংলাকে। তাই আশঙ্কার মেঘ থাকছেই।”

যদি বাংলা সহ ভারতের পূর্ব উপকূলে এই ঝড় আছড়ে পড়ে তাহলে ক্ষতি হবে কৃষির। যাতে বিপর্যয়ে পরবে এই মুহূর্তে সারা দেশ। তাই থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম ‘উম্পুন’ ঘূর্ণিঝড়ের ভারতের দিকে আছড়ে পড়লে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তার জন্য প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জোর তৎপর।”