ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ নিয়ে লাল সতর্কতা জারি দেশের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ ইতিমধ্যেই বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমশ এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে এই ঘূর্ণিঝড় এগোচ্ছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত উপকূলের দিকে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর মুখে এবং পরে উত্তর-পূর্ব অভিমুখ এগোবে। আগামীকাল অর্থাৎ ৩ জুন এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে মহারাষ্ট্রের হরিহরেশ্বর ও দক্ষিণ গুজরাত উপকূলের দমনের মাঝে। স্থলভাগের আছড়ে পড়ার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছাতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারে।

মৌসুম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোঙ্কণ ও গোয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়াও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের দেখা মিলবে কর্ণাটক উপকূলে, মধ্য মহারাষ্ট্র ও মারাঠাওয়াড়ায়। ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যাবে মুম্বই, পালঘর, থাণে ও রায়গড় জেলায়। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ গুজরাতে ভালসার, নভসারি, ডাং, দমন, দাদরা, নগর হাভেলি ও সুরাতে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই লাল সর্তকতা জারি করেছে মৌসম ভবন।

করোনা আবহে যখন জর্জরিত দেশ ঠিক তখনই মে মাসের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গের উপর আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঘূর্ণিঝড় আমফান পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তার প্রকোপ দেখিয়েছে ওড়িশাতেও। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলা। যে সকল জেলার বেশ কিছু অংশ এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেনি। আর এরই মধ্যে আবার দেশের সবথেকে বেশি করোনা জর্জরিত মহারাষ্ট্র ঘূর্ণিঝড়ের কবলে আসতে চলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকারের মাথায়।