চোখ রাঙাচ্ছে সাইক্লোন সিত্রাং, জেলাগুলিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ নবান্নের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে এমন পূর্বাভাস মিলেছিল বিদেশি গবেষণাগারের পূর্বাভাস থেকে। যদিও সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে না মৌসম ভবন। তবে তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।

Advertisements

মৌসম ভবনের এই পূর্বাভাস পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করা শুরু হয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং আগাম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নে তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং আলাদা করে কন্ট্রোলরুম তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

এখনো পর্যন্ত মৌসম ভবনের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে সেই পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এর পাশাপাশি প্রভাব পড়বে পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়ার মতো জেলাগুলিতে।

Advertisements

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তৈরি হওয়া এবং তার অভিমুখ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর উড়িষ্যা উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। অভিমুখ এবং ল্যান্ডফল এলাকা পরিবর্তিত না হলে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের উপর প্রভাব পড়বে না। তবে পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে সুন্দরবন এলাকায়। এছাড়াও অন্যান্য উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও যথেষ্ট প্রভাব দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি এর প্রভাবে ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এই ঝড়ের গতিবেগ দেখা যেতে পারে কেবলমাত্র উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায়।

Advertisements