নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ২২ মে থেকে তিল তিল করে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর দানা বাঁধতে শুরু করে নিম্নচাপ। তারপর সেই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সোমবার জন্ম নেয় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বঙ্গোপসাগরে জন্ম হয় এই ইয়াস-এর। আর তারপর বেশ কয়েক ঘণ্টার জীবনচক্র। আর এই জীবনচক্র কোথায় শেষ হবে অর্থাৎ কখন কোথায় এর মৃত্যু তা জানালো হাওয়া অফিস।
নিম্নচাপ থেকে ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার সকাল ৯:১৫ টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বর উপকূলে আছড়ে পড়ে। প্রথমদিকে অনুমান করা হচ্ছিল এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কোথাও আছড়ে পড়বে। তবে ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পরিবর্তিত হয়ে ওড়িশার দিকে চলে যায়।
[aaroporuntag]
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওড়িশায় এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে তারা চলে যাবে ঝাড়খণ্ডের দিকে। আর ঝাড়খন্ডে পৌঁছে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তার মৃত্যু ঘটবে। সোমবার জন্ম নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু ঘটবে এই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর। অর্থাৎ সর্বসাকুল্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের জীবনচক্র ৬৯ ঘন্টা।