নিজস্ব প্রতিবেদন : আমফান ঘূর্ণিঝড়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড় Yaas আগামী দিন দুয়েকের মধ্যেই বাংলায় আছে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নতুন করে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার সম্পর্কে আগেই সর্তকতা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। সেইমতো নবান্নের তরফ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা হয়েছে।
রাজ্যকে দেওয়া সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা। আগামী ২৫ মে থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যে কারণে ইতিমধ্যেই যে সকল এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে তাদের নাম ধরে তাদের জেলাশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড় আগামী ২৬ শে মে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে প্রবেশ করতে পারে। উপকূলের প্রবেশ করার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কমপক্ষে ঘন্টায় ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার থাকতে পারে। আর এই সকল সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আগামী ২৪ মে থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার প্রত্যেক মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
[aaroporuntag]
পশ্চিমবঙ্গের যে সকল এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে সেগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, শঙ্করপুরের মতো জায়গায়। পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে।