নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর মে মাসে বাংলার উপর আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল বাংলার একাধিক এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গোসাবা, ক্যানিং, সুন্দরবন।
তবে এই সকল এলাকা ছাড়াও রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছিল। আর সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের যশ-এর আতঙ্ক। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে গত বছরের স্মৃতি দগদগ করতে শুরু করেছে বাংলার মানুষদের মনে। প্রশ্ন জাগছে তাহলে কি এই ঘূর্ণিঝড় আগের মতোই ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনবে?
হাওয়া অফিসের বক্তব্য, আম্ফানের সাথে ঘূর্ণিঝড় যশের তুলনা হবে না। কারণ আম্ফান আছড়ে পড়েছিল সাগরদ্বীপে। তারপর সেই ঘূর্ণিঝড় কলকাতার উপর দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপর সবথেকে প্রভাব পড়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়ের।
তবে ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়বে ওড়িশায়। তারপর তার অভিমুখ রয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। যে কারণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা এড়াতে পারবে বাংলা। তবে বাংলার অন্যান্য জেলা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা এড়ালেও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে পূর্ব মেদিনীপুর। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা আম্ফানের মত ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনতে পারবে না বলেই মনে করছেন হাওয়াবিদরা।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশ যেখানে ল্যান্ডফল করবে সেখান থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ল্যান্ডফলের স্থান সাগরদ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার এবং দীঘা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। ফলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আমফানের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
[aaroporuntag]
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সম্ভবত আম্ফানের মত ক্ষয় ক্ষতি করতে পারবে না এই ঘূর্ণিঝড়। তবে কলকাতায় বুধবার ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০-৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। দমকা হওয়ার ক্ষেত্রে এই গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। আর এই পরিস্থিতির সাথে প্রবল বৃষ্টি হবে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। তবে এই পরিস্থিতিও নেহাত কম নয়, কিন্তু আম্ফানের মত ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে আশা করা যাচ্ছে।