চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ, বাংলার কোন কোন এলাকায় বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠিক গত বছরের মে মাসে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি চলার সময়ই বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সেই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনো দগদগে হয়ে রয়েছে বাংলার আমজনতার মনে। আর এবছরও ঠিক প্রায় একই সময়ে নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। ঘূর্ণিঝড়ের এই পূর্বাভাসে ইতিমধ্যেই উৎকণ্ঠার সাথে দিন গুনছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দারা।

Advertisements

Advertisements

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ অর্থাৎ ২২ মে আন্দামান সাগর লাগোয়া পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর নিম্নচাপটি তৈরি হবে। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৪ মে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ২৬ মে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

Advertisements

এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের যে সকল জায়গায় সেগুলি হল ঝড়খালি, কাকদ্বীপ, ক্যানিং, গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, বসিরহাট, বকখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া-সহ একাধিক এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, শঙ্করপুরের মতো সামুদ্রিক এলাকাগুলি। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই তুলনামূলক কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি লক্ষ্য করা যেতে পারে।

[aaroporuntag]
যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের গঠন যেহেতু এখনও সম্পুর্ণ হয়নি তাই এর অভিমুখ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি এখনো পর্যন্ত। আবহাওয়াবিদরা অনুমান করছেন, ঘূর্ণিঝড় যশের ল্যান্ডফল করার সময় তার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। অন্যদিকে আম্ফানের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২১ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় যশ-এর ব্যাপ্তি ১৪০০ কিলোমিটার জুড়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Advertisements