Advertisements

সাগরে তৈরি নতুন ঘূর্ণাবর্ত, বাংলায় এর প্রভাব কতটা পড়বে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : কালীপুজোর সময় থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার তাপমাত্রার পারদ হু হু করে নামতে শুরু করে। এরপর গোটা নভেম্বর মাস জুড়েই হালকা শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। তবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ না আসা পর্যন্ত জাঁকিয়ে শীত লক্ষ্য করা যাবে না।

Advertisements

হাওয়া অফিসের সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে এখনো পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে শীতের বিন্দুমাত্র দেখা যায়নি। এদিকে আবার মন্দৌস ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি দক্ষিণবঙ্গের না পড়লেও তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে। এমত অবস্থায় আগামী ১৫ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়বে কিনা তা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

Advertisements

জাঁকিয়ে শীত পড়া নিয়ে এমন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে মূলত আরব সাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কারণে। আরব সাগর ছাড়াও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর জেরে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপ পরে শ্রীলঙ্কার দিকে এগিয়ে যাবে।

Advertisements

একাধিক ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ক্ষেত্রে পড়বে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ঘূর্ণাবর্তের কারণে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকলেও তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পাবে বলে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত এবং সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে। যার ফলস্বরূপ তাপমাত্রার পারদ বাড়বে। তবে সকাল এবং রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজ বজায় থাকবে আগামী দিন কয়েক। দিনের দিকে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্য করা যাবে।

Advertisements