নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওয়া অফিসের তরফ থেকে গত কয়েকদিন ধরেই জানানো হচ্ছে, আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। হাওয়া অফিসের সেই পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই মিলে গিয়েছে এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় সেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ধাপে ধাপে সেই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে (Depression) পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। এর পাশাপাশি আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone)।
হাওয়া অফিস সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্ত সোমবার শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করবে। শক্তি বৃদ্ধি করে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরই সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হলেও সেই নিম্নচাপ আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত মৌসম ভবনের (IMD) তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে বলে রাখা ভালো, আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত শেষমেষ যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে তার নাম হবে মিগজাউম। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া এই সিস্টেম ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে। এই সিস্টেম যখন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছাবে তখন তার শক্তি অনেক বেশি থাকবে এবং গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করবে। ২৯ নভেম্বর এই সিস্টেম গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় যাতে এই পরিণত হোক না কেন, এখন কৌতুহল এর প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে? এই বিষয়ে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপের প্রভাব বাংলার উপর সেই ভাবে পড়বে না। এর প্রভাব পড়বে অন্ধ্র উপকূলে। এছাড়াও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সোমবার।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদার সব জেলায় শুষ্ক থাকবে আগামী পাঁচ দিন।