নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত ভারতবর্ষ। এর মাঝেই আবার দোসর হয়ে হাজির পরপর দুটি ঘূর্ণিঝড় আমফান এবং নিসর্গ। আর এই দুই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত সারিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে আবার একটি ঘূর্ণিঝড়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সমুদ্র গর্ভে নতুন করে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছে মৌসম ভবন।
সোমবার মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওড়িশা উপকূলে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। তবে এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে কতটা ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে এবং এর গতি-প্রকৃতি কি হতে চলেছে তা বোঝা যাবে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে। অর্থাৎ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বোঝা যাবে এই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা।
মৌসম ভবনের তরফ থেকে নতুন করে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের বিষয়ে জানানোর সময় বলা হয় উত্তর ওড়িশা ও তার সংলগ্ন এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ০.৯ কিলোমিটার থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উপরে দক্ষিণের দিকে ঝুঁকে বর্তমানে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণাবর্ত। আর আগামী তিন দিনে এটি ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
♦ A cyclonic circulation is seen over north interior Odisha & neighbourhood between 0.9 km & 7.6 km above mean sea level tilting southwards with height. It is very likely to move northwestwards during next 3 days.
— India Met. Dept. (@Indiametdept) June 22, 2020
প্রসঙ্গত, মে মাসের ২০ তারিখে ঘূর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের ৮৬ জন এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে প্রাণ হারান। পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার ফসল এবং সম্পদ নষ্ট হয়। এরপর আবার জুন মাসের ৩ তারিখে মহারাষ্ট্র উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। তবে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ স্থলভাগ আছড়ে পড়ার সময় অনেকটা শক্তি হারানোর ফলে সেভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি মহারাষ্ট্রকে।