নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ সরে এসে বঙ্গোপসাগরে পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়ে। সৌদি আরবের দেওয়া নামানুসারে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হয় ‘জাওয়াদ’। এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে প্রথম থেকেই আশঙ্কার শেষ নেই।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে অন্ধ্র অথবা উড়িষ্যা উপকূলে। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে বাসিন্দাদের জন্য তৈরি করে নানান আশঙ্কা। ঝড়ের পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
তবে শনিবার দুপুর বেলা হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পাওয়া শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে অবস্থান করছে পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব বিশাখাপত্তনম থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে এবং আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে তার শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর তা পুরি উপকূলে পৌঁছাবে।
Cyclonic Storm ‘JAWAD’ about 210km eastsoutheast of Visakhapatnam at 1130 hrs IST of 04th December 2021. To weaken gradually during next 06 hours, and reach near Puri around 5th December noon as a Deep Depression. pic.twitter.com/blIzoviDGV
— India Meteorological Department (@Indiametdept) December 4, 2021
এই ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে শক্তি হারানোর কারণে ঝড়ের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। রবিবার দুপুর বেলা এই গভীর নিম্নচাপ পুরি পৌঁছানোর পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের।
ইতিমধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বেশকিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মেঘে ঢাকা পড়েছে ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া। এইসকল জেলাগুলিতে রবিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।