নিজস্ব প্রতিবেদন : আম্ফানের ক্ষতের চিহ্ন এখনো মলিন হয়নি। তার মধ্যে আবারও এলো ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকতা। মানবসভ্যতা নিজেদের নগরী গড়তে গিয়ে প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে নিজেদের ইচ্ছামতো। আর আজ আমরা দেখছি প্রকৃতি যখন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তখন মানুষ কতটা অসহায় হয়ে পড়ে। আমাদের প্রতিবেশী রাজ্যে এবার আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়।
মুম্বইয়ের মৌসম ভবন দিন কয়েক আগেই জানিয়ে ছিলো দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য আরবসাগর ও লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এবার ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকতা জারি করা হয়েছে ভারতের অপর দুটি রাজ্য গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে। IMD জানিয়েছে, আরব সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে যা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে আছড়ে পড়তে পারে উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাট উপকূলে। আগামী ৩ রা জুন সকালে এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে করার প্রবল সম্ভাবনা।
IMD জানিয়েছে, “এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দেশের নানা অংশে ঝড় বৃষ্টির সাথে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে লাক্ষাদ্বীপ ও কেরল উপকূলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” IMD আরও জানিয়েছে “৩১ শে মে ও ১ লা জুন লাক্ষাদ্বীপ উপকূলে ও কেরলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ২ ও ৩ জুন গোয়া এবং কোঙ্কণ উপকূলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।”
The low pressure Area over Arabian Sea to intensify into Cyclonic Storm during next 48-hours. It would reach near north Maharashtra and south Gujarat coasts around 3rd June morning.
— IMD Weather (@IMDWeather) May 31, 2020
আবহাওয়াবিদদের অনুমান আরব সাগর থেকে তৈরি হওয়ার পরেই ঘূর্ণিঝড়টি তার শক্তি বাড়াতে থাকবে এবং শক্তি সঞ্চয় করে সেটি উত্তর দিকে আছড়ে পড়বে।গুজরাত, দাদরা, নগর-হাভেলি, দমন ও ডিউ এই সকল এলাকায় ৩ রা জুন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু ৩ রা জুনই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলে তাই মৎস্যজীবীদের আগাম সর্তকতা করা হয়েছে তারা যেন আরব সাগরে না যায়।