ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ, ১২৫ কিমি বেগে আসছে দুই রাজ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় আমফানের দেশের মাটিতে আছড়ে পড়া এখনো পার হয়নি ১৫ দিন। এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত এখনো সারিয়ে উঠতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন। আমার যে ক্ষয়ক্ষতির ভার বহন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে। আর এরই মাঝে আবার নতুন করে বিপত্তি। দেশের আরও দুটি রাজ্যে ধেয়ে আসছে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ অনুসারে যার নাম হয়েছে নিসর্গ।

সদ্য একটি ঘূর্ণিঝড় যাওয়ার পর আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ভারতের ভূখণ্ডে আছড়ে পড়তে চললেও এবার রক্ষা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা। আর এবার কপালে ভাঁজ ফেলতে চলেছে দেশের সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রে, পাশাপাশি আছড়ে পড়তে চলেছে গুজরাতে। তবে শুধু নিসর্গ নয়, আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। যদিও দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে নারাজ হাওয়া অফিস।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরে তৈরি হওয়া দুটি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে একটি বুধবার মহারাষ্ট্র ও গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়বে। দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব মধ্য আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে আগামীকালই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। বর্তমানে এটি গভীর নিম্নচাপ রূপে গোয়া থেকে ৩৬০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৬৭০ কিলোমিটার ও সুরাট থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আপাতত এর অভিমুখ উত্তর দিকে হলেও মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরেই অভিমুখ পরিবর্তন হবে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এই ঘূর্ণিঝড়। গুজরাট উপকূলে বুধবার সন্ধ্যায় আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ১০৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার ঘন্টায়। মহারাষ্ট্র উপকূলে আছড়ে পড়ার সময়ও একই গতিবেগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী জুন মাসের ২ তারিখ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ উপকূলে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় বইবে। একইভাবে গুজরাট, দমন ও দিউ অঞ্চলে ৩ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বজায় থাকবে দুর্যোগ।