গতিপথ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ধেয়ে আসছে বাংলার দিকে, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিমুহূর্তে গতিপথ পরিবর্তন করছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। কিন্তু তা সত্ত্বেও শঙ্কা কাটছে না পশ্চিমবঙ্গের। বরং ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ। এই মুহুর্তে পূর্ব-মধ্য ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর অভিমুখ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে।

বর্তমানে এটি কলকাতা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ উপকূল থেকে রয়েছে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ‘বুলবুল’ আরও ঘণীভূত হয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে।

রাত পর্যন্ত গতিপথ অনুযায়ী সুন্দরবনের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার বেলার দিকে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আয়লার পথ ধরছে বুলবুল। তবে যেহেতু পথ বদলাচ্ছে, তাই সঠিক সময় বা স্থান বলাও মুশকিল হয়ে পড়ছে আবহাওয়াবিদদের কাছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। সমুদ্র উত্তাল হবে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, বকখালিতে। শুক্রবার থেকেই আকাশ মেঘলা থাকবে।

আজ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল অতি ভারী বৃষ্টি পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। পাশাপাশি নদিয়া, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। বেশিরভাগ জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।


‘বুলবুল’-এর বর্তমান অবস্থান

আগামী তিনদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা এখন মাছ ধরতে গিয়েছেন তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। মৎস্য বন্দরগুলিতে মাইকিং করা হয়েছে। শুধু বন্দর এলাকায় নয় বীরভূমের মহঃবাজারের মত এলাকাতেও গতকাল থেকে চলছে মাইকিং। এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থেকে সুরক্ষার জন্য নবান্নে তো বটেই, সংশ্লিষ্ট প্রতিটি জেলায় মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। ফ্লাড রেসকিউ সেন্টারগুলি তৈরি। বিপর্যয় মোকাবিলা, স্বাস্থ্য ও ত্রাণ দপ্তর খোলা থাকবে শনি ও রবিবারও।